
সালথা উপজেলায় হাসের খামারে বন্যার হানা খামারীর ব্যাপক ক্ষতি।
আকাশ সাহাঃ সালথা ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের হরিনা গ্রামে কয়েক যুবক মিলে বন্ধুসঙ্গ নামে একটি সমিতির মাধ্যমে একটি হাস খামার করেন, হাসের খামারের পাশাপাশি পুকুরে মাছের চাষও করেন। চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে যাত্রা শুরু করা হাসের খামারে হাস ছিলো প্রায় ২২শত এবং পুকুরে প্রায় ১ লক্ষ টাকার মাছ ছিল। মহামারী করোনা ভাইরাসের এর পর হানা দেয় বন্যা। শুরু হয় খামারিদের লোকসানের পালা। দিন দিন পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারের তিন টি ঘর পানিতে তলিয়ে যায়। পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে মাছ এদিক ওদিক চলে যায় এবং অনেক হাস মারা যায় ও অনেক হাস হারিয়ে যায়।খামারিদের একজন হুমায়ন কবির বলেন, যখন খামার টি শুরু করি তখন হাসের খাবারের দাম ছিলো ৪০০ টা মন, বর্তমানে ১২০০ টাকা পর্যন্ত কিনতে হয়।
সর্বশেষে সকল খামারির সাথে কথা বলে জানা যায় প্রায় ১০লক্ষ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা একবারেই শেষ হয়ে গেলোম। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৩টি ঘর ই তলিয়ে গেছে, হাসের খামারে হাস নেই শুধু পানি আর পানি, সাথে যোগ হয়েছে খামারিদের হাহাকার, এসময় অারো খামারি ও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাজমুল মোল্যা, মোকাদ্দেস হোসেন, সুজন মোল্যা, ইলিয়াস মোল্যা সহ অনেকেই।
সালথা উপজেলার প্রানীসম্পাদ কর্মকর্তা শাখায়াত হোসেন বলেন, একজন ক্ষতিগ্রস্থ খামারি হিসেবে সরকার প্রদত্ত সকল সুযোগ সুবিধা তিনি পাবেন, যে কোন খামারি সেবা ও পরামর্শের জন্য আমাদের কার্যালয়ে আসতে পারেন।