

রবীন লিগের শেষ ম্যাচে ক্যাচ ধরতে যেয়ে কাঁধে ব্যথা পেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। আঘাত মারাত্মক না হলেও তার ফাইনাল খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছিল। শুক্রবারে পূর্ব নির্ধারিত ফাইনাল হলে মাঠে না নামার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল মুশফিকের। বৃষ্টিতে খেলা দুই দিন পেছানোয় পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপে এখন পর্যন্ত একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান মুশফিক।
আমাদের দল একটি ধারাবাহিকতায় রয়েছে। আমরা শিরোপা জিততেই খেলব। ’ মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘এটা ফাইনাল। চাপ সামাল দিতে পারা দলই চ্যাম্পিয়ন হবে। আমরা আশাবাদী শিরোপা জয়ের বিষয়ে। ’
প্রেসিডেন্ট কাপের শিরোপা জেতার অন্যতম দাবিদার নাজমুল একাদশের আশা ভরসা মুশফিক আজ খেলবেন। দিবা-
নজর থাকবে নাজমুল একাদশের আফিফ হোসেন ধ্রুব, তৌহিদ হৃদয়, ইরফান শুক্কুর, সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্তর দিকে। বিপরীতে নজর থাকবে মাহমুদুল্লাহ একাদশের নুরুল হাসান সোহান, মাহামুদুল হাসান, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, লিটন দাস, মোহাম্মদ নাঈমের উপর। টুর্নামেন্টে মুশফিকের বাইরে দারুণ ব্যাটিং করেছেন আফিফ, সোহান, শুক্কুর। আফিফ নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়ে এক ম্যাচে করেছেন ৯৮ রান। নাজমুল বাহিনীর পক্ষে দুরন্ত ব্যাটিং করেছেন দুই তরুণ শুক্কুর ও হৃদয়। পুরোপুরি ব্যর্থ নাজমুল শান্ত (৩৭), সাইফ (২৪), সৌম্য (৪৫)। মাহমুদুল্লাহর পক্ষে ব্যর্থ লিটন (৪৩), মুমিনুল (৫২), ইমরুল (৯৩)।
মাত্র ছয় ব্যাটসম্যান শয়ের উপর রান করেছেন। সর্বোচ্চ ২০৭ রান করেছেন মুশফিক। ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও আলো ছড়িয়েছেন বোলাররা। ব্যাটসম্যানদের লড়াইয়ের আড়ালে গতির লড়াই হবে মিরপুরের ২২ গজের উইকেটে। এই লড়াইয়ে নাজমুল একাদশকে নেতৃত্ব দিবেন জাতীয় দলের তিন ডান হাতি পেসার তাসকিন আহমেদ, আল-আমিন ও আবু জায়েদ রাহী। তাসকিন গতির সঙ্গে বাউন্স ও সুইংয়ের মিশেলে নাভিশ্বাস তুলেছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের। দুজনেই মিতব্যয়ীও ছিলেন এবং উইকেট নিয়েছেন ৭টি করে। করোনামুক্ত হয়ে রাহী দুই ম্যাচে উইকেট নেন ৪টি। মাহমুদুল্লাহ’র স্ট্রাইক বোলার রুবেল ৪ ম্যাচে গতি ও বাউন্সে নাজেহাল করে উইকেট নিয়েছেন ১০টি। এবাদত ৭ উইকেট নিলেও ছিলেন একটু খরুচে। পেসারদের পাশাপাশি স্পিনাররাও লড়াইয়ে থাকছেন। মাহমুদুল্লাহ একাদশের পক্ষে বল ঘোরাচ্ছেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ স্বয়ং, লেগ স্পিনার সুমন খান এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে নাজমুল বাহিনীর পক্ষে ঘূর্ণিতে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের নাজেহাল করেছেন বাঁ হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ( ৪) ও লেগ স্পিনার রিশাদ খান (৪)।
ফাইনালে দুই দলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকবে নাজমুল বাহিনী। রবিন লিগের দুই ম্যাচেই মাহমুদুল্লাহ বাহিনীকে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে বিপর্যস্ত করেছে নাজমুল বাহিনী। প্রথম লড়াইয়ে ৫৩ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জিতেছিলেন নাজমুলরা। দুই দলের দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল আরও একপেশে। ২৬৪ রানের বিপক্ষে মাত্র ১৩১ রানে গুটিয়ে গিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহরা। আগের ম্যাচ দুটির হিসাবে আজ ফেবারিট নাজমুল একাদশ। কিন্তু অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট বলে শেষ হাসি কে হা।