
চট্টগ্রামের আদালত ভবন এলাকা যেন গাড়ির হাট। আদালত ভবনের সড়কের দু’পাশ জুড়ে শত শত প্রাইভেটকার, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের সকাল-বিকাল যেন মেলা বসে। রাস্তা দখল করে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ বাজারও। এতে প্রায় সময় যানজট লেগে থাকায় চট্টগ্রাম আদালত ভবনে আসা অন্তত ১০ হাজারের অধিক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সমস্যায় পড়ছে আদালতে আসামি বহনকারী যানবাহনও। নগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকায়স্থ পরীর পাহাড়ে পুরাতন আদালত ভবন এলাকায় রয়েছে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নতুন আদালত ভবন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ছয়টি ভবন ও জেলা রেজিষ্ট্রার কার্যালয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সামনে ও নতুন আদালত ভবন ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির একটি ভবনে কয়েকটি গাড়ি পার্কিং করার জায়গা রয়েছে। এসব পার্কিং এর জায়গা বিচারক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সিনিয়র আইনজীবীর গাড়ি ও সরকারি যানবাহনগুলোর জন্য বরাদ্দ থাকে। এছাড়া আদালত ভবনে আসা দৈনিক ১০ হাজারের মানুষের একটি অংশের সাথে আসছে আরও কয়েকশ’ প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজি, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন।
সড়কের কিছু অংশে বসা ভ্রাম্যমাণ বাজার বাড়াচ্ছে আরও ভোগান্তি। শুটকি থেকে শুরু করে রকমারি পণ্যে নিয়ে বসে ভ্রাম্যমাণ বাজার। এতে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে যাওয়ার জন্য নিচ থেকে ওপরে উঠার সড়কটির দু’পাশেই সবসময়ই লেগে আছে যানজট। এতে ভোগান্তির যেন শেষ নেই আদালত ভবনে আসা সব ধরনের মানুষের।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও পরিচালকের (স্থানীয় সরকার) জন্য ৭টি গাড়ি ও একটি মাইক্রোবাস রয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ৯টি যানবাহন থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম আদালতসহ সবগুলো মিলে সরকারি যানবাহনের সংখ্যা ১শ’ হবে। কিন্তু এগুলোর বাইরে আরও দুই থেকে তিনশ’ যানবাহন আদালত এলাকায় পার্কিং করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এসব যানবাহনের বেশিরভাগরই মালিক প্রশাসনিক ও আইন কর্মকর্তা, আইনজীবীদের পাশাপাশি সেবা নিতে আসা লোকজনের। দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা চলে আসছে। এসব বিষয়ে যথাযথ কোনো উদ্যোগ বাস্তবায়ন হতে দেখা যাচ্ছে না।
এবিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) এ জেড এম শরীফ হোসেন বলেন, আদালত ভবন এলাকায় যানবাহন শৃক্সখলায় আনতে আমাদের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও চেষ্টার শেষ নেই। কিন্তু এটা একটি জনসমাগম এলাকা হওয়ায় এখানে এত লোকের যাতায়াত, যা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। এরপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বলে জানান জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।